“কোন হাসপাতাল যদি কেবল সুস্থ্য ব্যক্তিদের পরিচর্যা করে আর রোগাক্রান্তদের বাদ দেয় তাহলে তাকে কি বলা হবে?”
এমন প্রশ্নই করা হয়েছে গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে “আপনাকে বলছি স্যার” বইটিতে। প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা আসলে এই ব্যপারটিকে ঘটতে দেখি প্রতিনিয়ত। যেখানে এগিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়া হয়, পুরস্কৃত করা হয় আর ব্যর্থদের, ফেল করাদের বাদ দিয়ে দেওয়া হয় স্কুল থেকে। কিন্তু এই ব্যবস্থা মেনে নিতে পারেননি একজন, তিনি ফাদার মিলানি (পুরো নাম ডন লোরেঞ্জো মিলানি)। মিলানি ১৯৫৪ সালে বারবিয়ানা চার্চে (ইতালি) যোগদান করেন। যোগদানের পর তিনি বারবিয়ানাতে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন যেটা ছিল প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বিদ্যালয় থেকে বাদ পড়া ছেলেমেয়েদের নিয়েই গড়ে উঠেছিল তার বিদ্যালয়টি। এই ব্যতিক্রমী বিদ্যালয়টির শিক্ষা পদ্ধতি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে পুরোন ছাত্রেরা অনেক সময়ই নতুনদের পড়াত, আর শিক্ষার অঙ্গ হিসেবে পড়ুয়াদের সমাধান করতে হত তাদের প্রাত্যহিক জীবনের নানা সমস্যা। এই ব্যতিক্রমী বিদ্যালয়টিই সে সময় সাড়া জাগিয়েছিল সমগ্র ইতালীজুড়ে।
বারবিয়ানা স্কুলেরআটজন পড়ুয়া মিলে একটি বই লেখেন, নাম দেন “আপনাকে বলছি স্যার”। এক সময়ে ফেল করা এই শিক্ষার্থীরা দ্বার্থহীন ভাষায় বলেছেন, “একসাথে সমস্যার সমাধান করতে পারলে সহমর্মিতা বাড়ে। একা একা সমস্যা সমাধান করা এক ধরনের স্বার্থপরতা।” এই বইতে তারা সেই সময়ের শিক্ষাপদ্ধতির ত্রুটিগুলি প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যাখ্যা করে, তথ্য-সমেত। ১৯৬৭ সালে মিলানি মারা যাওয়ার সাথে সাথে বারবিয়ানা স্কুলও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু প্রিয় শিক্ষকের আদর্শ বুকে করে আগলে রাখে সেদিনের সেই ছোট্ট পড়ুয়ারা। তাই শেষ হতে হতেও থেকে যায় বারবিয়ানা স্কুল। Letter to a teacher ইতালিতে সর্বাধিক বিক্রী হওয়া বই হিসেবে মর্যাদা পাওয়ার পর প্রচারের আলো পায়, আর সেই সঙ্গে লেখকেরা লাভ করে Italian Physical Society এর বিশেষ সম্মান। প্রতিভাবান পদর্থবিদেরাই এই বিশেষ সম্মান দেওয়া হতো, যা ঐ আটজন “ফেল করা” ছাত্র সেদিন জিতে নিয়েছিল, তথ্যের নিপুন বিশ্লেষনকে হাতিয়ার করে। এই চমৎকার, অসাধারণ বইটির বাংলা অনুবাদ বের হয়েছে এবারের বইমেলায়। অনুবাদ করেছেন কলকাতার সলিল বিশ্বাস, প্রকাশক বাতিঘর।
বারবিয়ানা স্কুলেরআটজন পড়ুয়া মিলে একটি বই লেখেন, নাম দেন “আপনাকে বলছি স্যার”। এক সময়ে ফেল করা এই শিক্ষার্থীরা দ্বার্থহীন ভাষায় বলেছেন, “একসাথে সমস্যার সমাধান করতে পারলে সহমর্মিতা বাড়ে। একা একা সমস্যা সমাধান করা এক ধরনের স্বার্থপরতা।” এই বইতে তারা সেই সময়ের শিক্ষাপদ্ধতির ত্রুটিগুলি প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যাখ্যা করে, তথ্য-সমেত। ১৯৬৭ সালে মিলানি মারা যাওয়ার সাথে সাথে বারবিয়ানা স্কুলও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু প্রিয় শিক্ষকের আদর্শ বুকে করে আগলে রাখে সেদিনের সেই ছোট্ট পড়ুয়ারা। তাই শেষ হতে হতেও থেকে যায় বারবিয়ানা স্কুল। Letter to a teacher ইতালিতে সর্বাধিক বিক্রী হওয়া বই হিসেবে মর্যাদা পাওয়ার পর প্রচারের আলো পায়, আর সেই সঙ্গে লেখকেরা লাভ করে Italian Physical Society এর বিশেষ সম্মান। প্রতিভাবান পদর্থবিদেরাই এই বিশেষ সম্মান দেওয়া হতো, যা ঐ আটজন “ফেল করা” ছাত্র সেদিন জিতে নিয়েছিল, তথ্যের নিপুন বিশ্লেষনকে হাতিয়ার করে। এই চমৎকার, অসাধারণ বইটির বাংলা অনুবাদ বের হয়েছে এবারের বইমেলায়। অনুবাদ করেছেন কলকাতার সলিল বিশ্বাস, প্রকাশক বাতিঘর।
যেকোন শিক্ষানুরাগীর এই বইটি ভালো লাগবেই। বইটির একটি পিডিএফ সংস্করণ ডাউনলোড করে নিতে পারেন এখান থেকে। ভালো লাগলে অবশ্যই মূল বইটির একটি কাগজি সংস্করণ কিনে সংরক্ষণ করবেন। পিডিএফ সংস্করণ তৈরি ও বিতরণের কোন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন