আমি
একবার চাকরীর ইন্টারভিউতে চতুর প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলাম। এরপর থেকে আমি এটা ভুলতে পারিনি।
প্রশ্নটা
এমন ছিল, মনে করুন- এক ঝড়ের দিনে আপনি আপনার গাড়ী ড্রাইভিং করছেন আপনি একটি বাস
স্টপ অতিক্রম করার সময় দেখলেন সেখানে ৩ জন লোক দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমজন একজন সুন্দরী নারী যাকে আপনি
মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন এবং সারা জীবনের জন্য কাছে পেতে চান। দ্বিতীয়জন আপনার খুব পুরোনো এক বন্ধু যে একবার আপনার জীবন বাঁচিয়েছিল
এবং তৃতীয়জন এক বৃদ্ধা মহিলা যাকে খুব অসুস্থ্য দেখাচ্ছিল। আপনার গাড়িতে মাত্র একজনকেই বসতে দেওয়া সম্ভব।
এমতবস্থায়
আপনি কাকে আপনার গাড়িতে উঠতে বলবেন? বৃদ্ধাকে ? কারণ এটা নৈতিকতার প্রশ্ন এবং তিনজনের মধ্যে তার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। আপনি আপনার বন্ধুকে উঠাতে পারেন কেননা সে
আপনার জীবন বাঁচিয়েছিল। কিন্তু
বৃদ্ধা এবং বন্ধু দু-জনকেই ছাড়তে হবে যদি আপনার পছন্দের মানুষটি হারাতে না চান।
প্রায়
২০০ জন প্রার্থীকে এই একই প্রশ্ন করা হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে একজনের উত্তর ছিল
সম্পূর্ণ আলাদা আর তাকেই চাকরীটা দেওয়া হয়েছিল। জানেন, সেই ব্যতিক্রমী উত্তরটি কি ছিল? তিনি খুব সহজে বলেছিলে, “এ রকম পরিস্থিতিতে আমি
গাড়ি থেকে নেমে চাবিটা পুরোনো বন্ধুর হাতে দিয়ে বলতাম, বৃদ্ধ
মহিলাটিকে হাসপাতালে পৌছে দিতে এবং আমার প্রিয় মানুষটির হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকতাম
যতক্ষন না পরবর্তী বাস আসে।”
এই
উত্তর আমার দৃষ্টিভঙ্গী পালটে দিয়েছিল এবং আমাকে এটা ভাবতে শিখিয়েছে যে,
“ব্যতীক্রমী কিছু ভাবো।” প্রত্যেকেই
সফলতা এবং সেটি করার ক্ষমতার প্রবৃতি নিয়ে জন্মায়। কিন্তু একজনই সফলতা পায় যে কিনা ব্যতিক্রমী কিছু ভাবে। সংগ্রহ---ফেসবুক
দারুন
উত্তরমুছুনশিক্ষণীয় গল্প। জীবনে অনেক কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হতে হয় যখন এমন সমাধান একান্তই দরকার হয়ে পড়ে।
উত্তরমুছুন