ডুমুরিয়া এনজিসি এ্যান্ড
এনসিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী
জনাব মোঃ মোজাফফার
আলী মোড়ল এর অবসরজনিত বিদায় উপলক্ষে
দু’টি কথা
হে বিদায়ী,
সময়ের পরিক্রমায় দীর্ঘ
পথ পাড়ি দিয়ে আজ কর্মজীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছ তুমি। তোমার মত উদার, সাহিত্যপ্রেমী,
হাস্যজ্জ্বল, সদালাপী ব্যক্তির সাথে একই প্রতিষ্ঠাণে কাজ করতে পেরে আমরা ধন্য। তোমার
উপস্থিতি আমাদের হৃদয়ে শুষ্ক মরুভূমিতে স্নিগ্ধ বারিধারায় ন্যায় অনুভূতির সৃষ্টি করতো।
তোমার অকৃত্রিম বন্ধু বাৎসল্য যে প্রীতির বন্ধনে বেঁধেছে আমাদের তা কখনই ছিন্ন হবার
নয়।
হে সব্যসাচী,
তোমার সুনিপুন দক্ষতা
ও বিচক্ষণতা অফিস পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের করেছিল পরম নিশ্চিন্ত। আমরা দেখেছি ক্লান্তিহীনভাবে
তোমার কাজ করে যাওয়া, যা আমাদেরকেও করেছে অনুপ্রাণিত। তোমার প্রতি এ ঋণ কখনই শোধ হবার
নয়। বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রমেও ছিল তোমার সক্রিয় অংশগ্রহণ।
হে অগ্রজ,
একসাথে চলার পথে যখনই
কোন সংকট সামনে এসেছে, তোমার বন্ধুত্বের হাত সর্বদা পাশে পেয়েছি। পরীক্ষা পরিচালনার
মত সুকঠিন কাজগুলো তোমার চমৎকার দিক নির্দেশনায় অত্যন্ত সহজবোধ করেছি। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের
বাইরেও তোমার বন্ধুত্বের হাত ছিল সুপ্রসারিত। অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত তুমি সর্বদা সকল সংকটে
বটবৃক্ষের ছায়ার মত নিবিড় ছায়া দিয়ে চলেছিল। তোমার অনুপস্থিতিতে কে দেবে সেই ছায়া-প্রতি
মুহূর্তে সেই চিন্তা ক্লান্ত করছে আমাদের।
হে কবি,
তোমার ভিতরের কবিত্ব
মুগ্ধ করেছে আমাদের। তোমার লেখা কবিতায় আমরা খুঁজে পেয়েছি সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারুণ্যের
বিদ্রোহী সঙ্গীত।
হে মহানুভব,
কবির ভাষায়-
যেতে নাহি দিব। হায়,
তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।
--রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর।
তোমাকে বিদায় দিতে গিয়ে
আমাদের মাঝে কান্নার রোল ধ্বনিত না হলেও, চেয়ে দেখো, আমাদের কণ্ঠ আজ বাষ্পরুদ্ধ; আমাদের
চোখ আজ অশ্রু ছল ছল। দীর্ঘদিন আমরা তোমার কাছাকাছি ছিলাম। অসতর্কতাবশত হয়ত কখনো মনের
অজান্তে আমরা তোমার বিরক্তির কারণ হয়েছি; আমাদের কথায় বা আচরণে হয়ত কষ্ট পেয়েছ। আজ
এ বিদায় লগ্নে তোমার মহানুভবতার কাছে আমাদের দাবি- আমাদের ক্ষমা করে দিও।
পরিশেষে তোমার অবসর জীবন হোক অনাবিল সুখ-শান্তিতে
সমৃদ্ধ- পরম করুণাময়ের কাছে এই আমাদের প্রার্থনা।
তারিখঃ ০৮ নভেম্বর, ২০২০, রবিবার |
ইতি অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক,
কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষার্থীবৃন্দ |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন