Advertisement

Responsive Advertisement

বর্তমান সময়ে সারাদেশে ব্যপকভাবে ভাংচুর প্রসঙ্গে

 

আগেকার দিনে চুরি করতে পারাটা একটা বিশেষ দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হতো। অনেকেই চুরি করাকে পেশা হিসেবে গন্য করা করতেন। শোনা যায়, চুরি করার ক্ষেত্রে যাদের বিশেষ দক্ষতা ছিলো অনেকেই তাদের শরণাপন্ন হতেন। চুরির ধরণও ছিল বিচিত্র ধরনের। তবে যেহেতু চুরি করাতে যথেষ্ঠ ঝুঁকি ছিল তাই নিতান্ত বাধ্য না হলে অর্থাৎ বেঁচে থাকার তাগিদেই তারা চুরির পথে নামতেন। তবে অনেকেরই এটা স্বভাবে পরিনত হয়ে যেত। প্রতিনিয়ত চুরি করতে করতে অনেকেরই চুরি করাটা অভ্যাসে পরিণত হতো। দেখা যেতো বয়সের ভারে এসব চোরেরা যখন অক্ষম হয়ে পড়তো কিংবা ভিন্ন কোন উপায়ে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করে ফেলতেন যার ফলে তার আর চুরির প্রয়োজন হতো না তখন তাদের মধ্যে একটা বিশেষ সমস্যা দেখা দিতো।

সমস্যাটা ছিলো এরকম: সন্ধ্যার পর থেকে বিশেষ করে রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে তারা হাত-পা নিসপিশ করতো। চুরি না করে তারা থাকতে পারতো না। সেক্ষেত্রে তারা নিজের বাড়িতেই চুরি করতো। এই যেমন বদনা বা অন্য কোন অতি সাধারণ বস্তু পরিবারের অন্য সদস্যদের গোপন করে অর্থাৎ চুরি করে বাগানে বা অন্য কোথাও রেখে আসতো।

এখন কথা হচ্ছে হঠাৎ এই প্রসঙ্গ কেন? কারণ সম্প্রতি জাতি হিসাবে আমরা মধ্যে ভাঙ্গা-ভাঙ্গিতে এতটাই দক্ষ হয়ে উঠছি এবং এটা আমাদের এমন অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে যে ভবিষতে যখন প্রতিপক্ষের ভাঙার মতো আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে তখন ঐসব চোরের মত অবস্থা হবে আমাদের। আমরা তখন নিজেদের মধ্যেই ভাঙ্গা-ভাঙ্গির অভ্যাস চালিয়ে যাবো। এই ভাঙ্গা-ভাঙ্গি কতদিন চলবে জানি না হয়তো যতদিন না জাতি হিসাবে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে। 

প্রসঙ্গঃ ঘোষণা দিয়ে লোক জড় হয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। পরবর্তীতে সারাদেশে এই ভাঙচুর ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের সকল প্রকার স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ